আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তারা ভারতের লোক”—বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে চেয়েছে এবং এখন তারা দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “এর পরও যদি কেউ আমাকে ‘র’ এর এজেন্ট বলে, তাহলে ধরে নিতে হবে এটি আমার তকদিরেই লেখা ছিল।”

সম্প্রতি এক বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ভারতপন্থী ভূমিকাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করেছে, তারা ভারতের লোক। তারা বহুদিন ধরে বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে চেয়েছে, এবং এক জায়গায় তারা সফল হয়েছে—তারা নিজেরা আশ্রয় পেয়েছে।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ বলতো বিএনপি ভারতবিরোধী। কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়েছে কারা সত্যিকার অর্থেই ভারতঘেঁষা। বাংলাদেশের মানুষ আজ বুঝে গেছে কারা ভারতপন্থী, আর কারা জাতীয় স্বার্থের পক্ষে।”

ভারতে আটক হওয়া ও মুক্তির অভিজ্ঞতা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমাকে ওখানে জিজ্ঞাসাবাদে বলা হয়েছিল আমরা তো ‘এন্টি ইন্ডিয়া’। আমি বলেছিলাম আমি একজন বাংলাদেশি, আমি দেশের স্বার্থে কথা বলি। এর মধ্যেও আমাকে ভারতবিরোধী তকমা দেওয়া হয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তারা এমন একটি গোষ্ঠী যারা বাংলাদেশকে শাসন ও শোষণ করতে চায়, অথচ দেশের অস্তিত্বেই তাদের কোনো বিশ্বাস নেই।”

ভারতে তার মামলা ও আইনি লড়াই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চার বছর নিম্ন আদালতে লড়াই করেছি, তারপর আপিলে আরও চার বছর কেটেছে। ট্রেসপাসের মতো মামলায় আমাকে খালাস পেতে এত কাগজপত্র জমা দিতে হয়েছে—জাতিসংঘ, হাউজ অব কমন্স, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট পর্যন্ত।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত সরকারের আপিলের পর আবারও আমাকে লড়তে হয়। এই সময়টাতে আমার পরিবার, সন্তানরা ভীষণ কষ্ট করেছে। আমি বাবা হিসেবে, স্বামী হিসেবে থাকতে পারিনি। যারা গুম হয়েছে তাদের পরিবারের কাছেই প্রশ্ন রাখুন—তাদের অবস্থাটা কেমন?”

সালাহউদ্দিন বলেন, “যারা এসব নিয়ে গুজব ছড়ায়, তারা জানে তারা কী করছে। তারা গণতন্ত্রকে অপমান করছে। এসব প্রশ্ন যারা তোলে, তারা ফ্যাসিস্টদেরই উপকার করছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *