
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, গোপালগঞ্জে নিহত পাঁচজনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে, এর দায়ভার সরকার এড়াতে পারে না। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্ন উঠবে।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা যদি খুনের আসামি হন, তাহলে গোপালগঞ্জের পাঁচজনকে কেন হত্যা করা হলো এবং কেন তাদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হলো—এই প্রশ্ন কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল থেকেই আসবে। এর উত্তর সরকারকে দিতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছেন তারা সবাই নিরীহ নাগরিক ছিলেন। তাহলে কেন তাদের হত্যা করা হলো? এখনো একটি দল নিবন্ধন না পেলেও, তাদের পেছনে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, অথচ সেই অর্থ জনগণের।’
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা পিকনিক করতে বের হবে, সঙ্গে থাকবে শত শত গাড়ি। আর কোনো বিপদ ঘটলেই সামরিক বাহিনীর এপিসি-তে গিয়ে লুকাবে। আমাকে অনেক জায়গায় হামলা করা হয়েছে, তবু আমি পালাইনি। এক দিক দিয়ে গুলি চলেছে, আরেক দিক দিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থেকেছি। কিন্তু মাঠ ছেড়ে কখনো পালাইনি।’
হাবিব বলেন, ‘তারা একটু কিছু হলেই নানা ধরনের কথা বলছে। তাদের আরও সংযত হতে হবে। রাজনীতি করতে হলে পরিপক্বতা দরকার। এত তাড়াহুড়া করে এবারই এমপি হতে হবে—এই মানসিকতা রাজনীতির জন্য উপযুক্ত নয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের দল এখনো ক্ষমতায় যাওয়ার মতো শক্ত অবস্থানে না পৌঁছানো পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিষ্কার করে বলছে, যতক্ষণ না তারা নিশ্চিত হয় যে তারা ২০০ বা ৩০০ আসন পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তাহলে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিক, ২০৩০ সালের আগে নির্বাচন নয়। আমরা বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘুমাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা রাজনীতি হতে পারে না। আজকের ঘটনাটি আমি সমর্থন করি না। বড় হতে হলে আরও কিছু গুণ থাকা দরকার। আন্দোলন সবাই মিলে করেছে, অথচ কিছু লোক সেটিকে পুরোপুরি নিজের নামে চালাতে চায়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, গাড়িবহর আর বিলাসী চলাফেরা—এসব ছাত্র রাজনীতির বৈশিষ্ট্য নয়।’