আমেরিকার ‘সফল’ হামলায় ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস দাবি

বেজিং সময় শনিবার গভীর রাতে ফোরডো, নাতান্‌জ় ও ইসফাহানে হামলা চালিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী ‘সফল’ দাবি করেছে; ট্রাম্প ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করলেন উপগ্রহচিত্রের ভিত্তিতে।

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

রবিবার রাতে আমেরিকা ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।
উদ্দেশ্য ছিল ইরানের ফোরডো, নাতান্‌জ় ও ইসফাহানে অবস্থিত কেন্দ্রগুলো।
হামলার পর ট্রাম্প জানান, আমেরিকার সেনাবাহিনী ওই তিন কেন্দ্রেই ‘সফল’ অভিযান চালিয়েছে।
এখন পর্যন্ত তিনি বারবার একই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে।

ইরানে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে হামলা চালানো হয়।
হামলার নিশানা ছিল ফোরডো, নাতান্‌জ় ও ইসফাহানে অবস্থিত তিন পরমাণুকেন্দ্রে।
ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা দেন, “আমেরিকান বাহিনী ‘সফল’ভাবে হামলা চালিয়েছে।”
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিশেষ ধরনের ক্ষতি হয়নি”, তবে ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোমবার ভোরে ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশাল’-এ লিখেছেন:

“ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণুকেন্দ্রে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপগ্রহচিত্রও তা স্পষ্ট দেখাচ্ছে। মাটির গভীরে গিয়ে ‘লক্ষ্যভেদ’ করেছে মার্কিন বাহিনী!’”

রবিবার রাতেও তিনি একই প্ল্যাটফর্মে পুনরায় হামলার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, “ইরানের কাছে আর কোনো বোমা নেই,” এবং আমেরিকান সেনাবাহিনীকে ‘অভিনন্দন’ জানান।
নুকে যোগ করে বলেন, “অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও এমন অভিযান চালাতে পারেনি।”
তবে তিনি সাথে শান্তির বার্তাও দিয়েছেন।

ট্রাম্প আরও দাবী করেন, তিন কেন্দ্রই ‘পূর্ণরূপে ধ্বংস’ হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই দাবি সাপেক্ষে সামরিক কিংবা উপগ্রহচিত্র-ভিত্তিক নির্দিষ্ট প্রমাণ প্রকাশ করেনি আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
রবিবার সকালে জানিয়েছে, তিন কেন্দ্রেই বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তবে সম্পূর্ণ নিরীক্ষা করতে আরো সময় লাগবে।

ইরানের দাবি, হামলার পর তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পড়েনি, তাই নাগরিকদের উদ্বেগ নেই।

হামলার ঠিক আগে ফোরডোতে তৎপরতা দেখা যায়।
উপগ্রহচিত্রে ১৯ জুন দেখা যায় ১৬টি মালবাহী ট্রাক এবং বুলডোজার।
২০ তারিখে সেগুলো এক কিলোমিটার উত্তরে সরানো হয়েছে।
এর ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, তারা সরঞ্জাম সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছিল — হামলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে।

যদিও ট্রাম্পের দাবির পক্ষে সরাসরি প্রমাণ নেই, তথাপি উপগ্রহচিত্র কিছুটা এটাকে সমর্থন করছে।
‘প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি’র বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফোরডো কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসফাহান কেন্দ্রের হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়েছে মাইকেল উলরিচ নামে এক ব্যক্তি ‘হ্যান্ডলে’ প্ল্যাটফর্মে।
‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পরে জানিয়েছে, তারা ওই ভিডিও যাচাই করেছে।
৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, কেন্দ্রের সুড়ঙ্গ মুখে বিস্ফোরণ— রক্তিম ঝলকানি।
তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অনিশ্চিত।

ট্রাম্প এবং ইজরায়েল এই অভিযানকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলছেন।
ট্রাম্প বলেন, “যদি ইরান আলোচনায় না বসে, ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ হামলা হবে।”
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠক আছেন ট্রাম্প ও জাতীয় নিরাপত্তা টিমের।

অন্য পত্রিকার হেডলাইন

Reuters: Trump says Iran’s key nuclear sites ‘obliterated’ by US airstrikes

Reuters: World reaction to US attacks on Iranian nuclear sites

The Guardian: Trump says US has attacked nuclear sites in Iran including Fordow

The Daily Beast: Trump Gets His Middle East War by Bombing Iran

TIME: Iran Delivers Furious Warning, Speaks of ‘Unprecedented Level of Danger and Chaos’ After ‘Heinous’ U.S. Strikes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *