
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার শাহপুর গ্রামে ঈদের দিন জামাতের সময় বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়, যার ফলে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ও আরও অন্তত ২৫ জন আহত হন।
ঘটনাটি ঘটে গত ৯ জুন বিকেলে, তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে। আহতদের মধ্যে যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তারা হলেন জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান পক্ষের রিপন সরকার (৫৬), সাদ্দাম হোসেন (২৫), রবিউল হোসেন (২৮), ফারুক (২৪) এবং হৃদয় হোসেন (২১)। গুলিবিদ্ধদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়, অন্যদিকে বাকিদের বাংলাদেশে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং গৌরীপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর ও ফারুক চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে যখন ঈদের দিন জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ঈদ জামাতের সময় বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যে ফারুক গ্রুপের লোক আলী হোসেন কুটি প্রতিবাদ জানালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর ফারুক পক্ষের লোকজন অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে শুরু হয় গুলি বিনিময়, যেখানে জাহাঙ্গীর পক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান দাবি করেন, ফারুক ও তার ছেলে ফারাবি সশস্ত্র অবস্থায় তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং তার ভাইসহ অন্যদের গুলি করে। তিনি জানান, তার ভাই রিপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং প্রশাসনের কাছে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
অন্যদিকে, ফারুক চেয়ারম্যান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, দেশে ফিরেই জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় ও বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। তার দাবি অনুযায়ী, এই হামলায় তাদের অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল্লাহ্ জানান, কিছুদিন আগেই ফারুক চেয়ারম্যান অস্ত্র মামলায় আটক ছিলেন এবং জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আবার উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছে এবং বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।