
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের পদ নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে একাধিক কেন্দ্রীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ছাত্রদলের নেতৃত্বে একটি অঘোষিত পরিবর্তন ঘটেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আহসান মোহাম্মদ আফসান ইয়াহিয়াকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং রাকিবকে কার্যত নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছে। এই রদবদলের সূচনা মূলত হয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ নামক একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে।
গত বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ উঠেছে, উপস্থিত থাকার পরও সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। এ ব্যর্থতাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বিএনপির ভেতরে রাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ তীব্র হয়, যা শেষ পর্যন্ত তার অপসারণের দিকে গড়ায়।
তবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “রাকিব ভাই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আজকের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেননি। পদচ্যুতির গুঞ্জন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
তবে বাস্তবে ঘটনার প্রেক্ষাপট ভিন্ন বলে দেখা যাচ্ছে। জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আফসান ইয়াহিয়া, সেখানে রাকিব উপস্থিত ছিলেন না।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ছাত্রদলের অভ্যন্তরে রাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছিল। কুয়েট ইস্যুতে ছাত্র শিবিরের ওপর দায় চাপানো, সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর হাস্যোজ্জ্বল প্রতিক্রিয়া এবং নেতৃত্বে দুর্বলতা নিয়ে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ে।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, রাকিবকে ‘অসুস্থ’ দেখিয়ে সাময়িক বিরত রাখা হলেও প্রকৃতপক্ষে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি, তবে আফসান ইয়াহিয়া ইতোমধ্যে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো মনে করছে, শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
তথ্যসূত্র :জাগো নিউজ ২৪ ডট কম