
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
খুলনার দাকোপ উপজেলায় খালের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থানীয় দুইটি কমিটি—দাকোপ উপজেলা ও চালনা পৌরসভা বিএনপি—বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, দলীয় নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোজাফফর হোসেনকে সব দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার স্থায়ী বহিষ্কারের প্রস্তাবও কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় নগরীর কে. ডি. ঘোষ রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মো. মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, “নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের ফলেই বিএনপি আজ দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে অটল।”
তিনি আরও জানান, দলের ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে তৃণমূল থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান।
জেলা বিএনপির সভায় চালনা পৌর বিএনপির আরেক নেতা আইয়ুব আলীকেও সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে, তারও স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত কুমার সাহাকে রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া উপজেলাসহ দাকোপ ও বটিয়াঘাটা অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্বে যুক্ত করা হয়।
সোমবার দাকোপে সংঘটিত ঘটনার পর ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মো. তৈয়েবুর রহমান, গাজী তফছির আহম্মেদ, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, এস এম শামীম কবীর, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল ও অন্যরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার চালনা বাজার এলাকায় খালের ইজারা নিয়ে দুই বিএনপি গ্রুপের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ মোট ৯ জন আহত হন।