চাঁদা না দেওয়ায় দলীয় নেতাদেরও মামলায় ফাঁসালেন বিএনপি নেতা!

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ঘিরে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের প্রাক্তন জিএস জিয়াউল হক স্বপনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সহিংস ঘটনার শিকারদের চিহ্নিত করে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে মামলা করাতেন, যাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক এমনকি বিএনপির নেতারাও মামলায় আসামি হন।

জানা গেছে, এসব মামলার বাদীরা আসামিদের সনাক্ত করতে পারেন না। পরে স্বপন বাদ দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন এবং যারা টাকা দেন, তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের জড়ান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে থেকে অবৈধ সুবিধা নেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।

টঙ্গীর লেদু মোল্লা রোডের বাসিন্দা আইনজীবী স্বপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।

উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় বিএনপির নেতাও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর মহানগরের বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন বকুল। তিনি জানান, চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়।

এক ঠিকাদার অভিযোগ করেন, একটি অনুষ্ঠানে স্বপন তার আইফোন ও টাকা হাতিয়ে নেন। পরে ফেরত না দিয়ে উল্টো মামলায় ফাঁসান। এমনকি এক শিক্ষকের ১১ বছরের ছেলে ও জামাতাকেও মামলায় জড়ান স্বপন।

গাজীপুরের একাধিক স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ অনেকে অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা করানো হয়।

একজন মামলার বাদী জানান, স্বপন ভাই পুরো মামলাটি করিয়েছেন, তবে এতগুলো নাম থাকবে জানতেন না।

অভিযোগ সম্পর্কে জিয়াউল হক স্বপন দাবি করেন, তিনি কাউকে মামলায় জড়াননি এবং প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, স্বপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য এবং তিনি বর্তমানে দলের কোনো পদে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *