
বাংলাদেশে জুলাই ২০২৫ মাসে ৩৫২টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, আত্মহত্যা ও নিখোঁজের মতো ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে মানবাধিকার প্রতিবেদনে।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) কর্তৃক প্রেরিত ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন জুলাই, ২০২৫’-এ জানানো হয়েছে—বাংলাদেশে জুলাই মাসে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ৩৫২টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫৬টি, পাশাপাশি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা রয়েছে ৭টি। এর মধ্যে ৫ জন প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, গণমাধ্যমে প্রতিবেদনটি পাঠায় এমএসএফ। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন সংবাদপত্র বিশ্লেষণ করে তারা প্রতি মাসেই এমন প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুন মাসে যে ধর্ষণের ধারা ছিল, জুলাই মাসেও সেই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে নারীরা শিক্ষাঙ্গন, বাস, ট্রেন, অটোরিকশা এমনকি নিজ বাড়িতেও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এই বাস্তবতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে আইন থাকা সত্ত্বেও নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে নিরাপত্তাহীনতা দিন দিন বাড়ছে।
জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার ৫৬ জনের মধ্যে ১৭ জন শিশু ও ২৪ জন কিশোরী। এ ছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮ জন কিশোরী এবং ১০ জন নারী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন ২ জন শিশু, ৩ জন কিশোরী এবং ২ জন নারী।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ২২টি ঘটনায়। যৌন হয়রানির ঘটনা ২৬টি এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৩টি।
জুলাই মাসেই আত্মহত্যা করেছেন মোট ৫১ জন। যাদের মধ্যে ৩ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী এবং ৩১ জন নারী।
এই মাসে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১ জন শিশু ও ৫ জন কিশোরী। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন শিশু, ৩ জন কিশোরী ও ২ জন নারী।
একই সময়ের মধ্যে ১ জন শিশু, ৩ জন কিশোরী এবং ৭ জন নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে জুলাই মাসে ৯৪ জন শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৮ জন শিশু ও কিশোরী।
এছাড়া এই মাসে ঘটে যাওয়া ২টি শিশু ধর্ষণচেষ্টা এবং একটি ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় সমাজপতিরা বেআইনিভাবে আপোষ-মীমাংসা করেছেন। এসব সিদ্ধান্ত দেশের প্রচলিত আইনকে উপেক্ষা করে সালিশের মাধ্যমে নেয়া হয়।