
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
সরকার কেরোসিন ব্যতীত অন্যান্য সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নির্ধারিত দরে, ডিজেলের প্রতি লিটারের দাম ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা করা হয়েছে। পেট্রলের দাম ৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৮ টাকা এবং অকটেনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১২২ টাকা। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে কেরোসিনের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, মূলত ভেজাল প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে। এই নতুন দাম আগামীকাল রবিবার থেকে কার্যকর হবে।
আজ শনিবার (৩১ মে) রাতেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে মে মাসের শুরুতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৫ টাকা থেকে ১০৪ টাকায় নামানো হয়েছিল। একই সময় অকটেন ও পেট্রলের দাম ১ টাকা করে কমিয়ে যথাক্রমে ১২৫ ও ১২১ টাকা করা হয়। মার্চ ও এপ্রিল মাসে দাম অপরিবর্তিত ছিল, আর ফেব্রুয়ারিতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ১ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের মার্চ থেকে সরকার বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের নিয়ম চালু করে। এই প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রতি মাসেই তেলের দাম নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়, যেখানে বলা হয় যে, অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় এগুলো বিলাসবহুল পণ্যের (লাক্সারি আইটেম) পর্যায়ে বিবেচিত এবং ডিজেলের তুলনায় দাম বেশি রাখা হয়।
এছাড়াও, উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম সমন্বয় করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।