নারীদের জন্য সেরা ১০টি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া


বুদ্ধিমান নারীরা তার পরিবারের সকল কাজ শেষ করার পরে বর্তমানে ঘরে বসে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করে সফলতা অর্জন করছেন। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন। তাই ইউনিক ও সৃজনশীল ব্যবসার ১০টি আইডিয়া দেওয়া হল। কমবেশি বা কম বিনিয়োগে শুরু করা সম্ভব।

১. কাস্টমাইজড স্কিন কেয়ার ও বডি কেয়ার প্রোডাক্ট

বর্তমানে হ্যান্ডমেড স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক, লোশন, বডি বাটার, লিপ বাম, সোপ, শ্যাম্পু ইত্যাদি বিক্রি করা যেতে পারে।

২. অনন্য ডিজাইনের শাড়ি ও পোশাক পেইন্টিং

হাতের কাজের শাড়ি বা পোশাকে অনন্য ডিজাইন এঁকে কাস্টমাইজড অর্ডার নেওয়া যেতে পারে। এটাকে ‘আঁকা শাড়ি’ বা ‘হাতের কাজের পোশাক’ হিসেবে জনপ্রিয় করা সম্ভব।

৩. পার্সোনালাইজড গিফট আইটেম তৈরি

কাস্টমাইজড গিফট বক্স, হাতে আঁকা মগ, ওয়াল হ্যাংগিং, কাঠের গ্রাফিক্স আর্ট বা পেপার ক্রাফট আইটেম তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পারে।

৪. ডিজিটাল আর্ট ও প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস

অনেকেই নিজের ছবি বা প্রিয়জনের ছবি ডিজিটাল আর্ট আকারে রাখতে চান। তুমি ডিজিটাল পেইন্টিং বা ক্যারিকেচার তৈরি করে Etsy, Fiverr বা ফেসবুকে বিক্রি করতে পারো।

৫. হোমমেড কেক, চকলেট মেকিং বিজনেস

নিজের তৈরি চকলেট, কেক, দই,  আইসক্রিম  বা ফিউশন ফুড পণ্য ফেসবুক পেজ বা অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পারে।

৬. অনলাইন ইভেন্ট প্ল্যানিং ও পার্টি ডেকোরেশন পরামর্শ

ছোট পরিসরের বিয়ে, জন্মদিন, এনিভার্সারি বা কর্পোরেট ইভেন্ট প্ল্যানিং সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে।

৭. স্মার্ট কিচেন গ্যাজেট ও হোম অর্গানাইজিং পণ্য বিক্রি

বাজারে থাকা নতুন নতুন কিচেন টুলস বা হোম ডেকোর আইটেম সোর্স করে বিক্রি করা যেতে পারে।

৮. পডকাস্টিং ও ভয়েস ওভার সার্ভিস

নারীদের জন্য বিশেষ ধরনের পডকাস্ট চালু করা বা ভয়েস ওভার সার্ভিস দেওয়া লাভজনক হতে পারে।

৯. অনলাইন ফ্যাশন স্টাইলিং ও ইমেজ কনসাল্টিং এবং কসমেটিকস বিক্রি 

নারীদের জন্য ফ্যাশন পরামর্শ, ব্যক্তিগত স্টাইলিং সার্ভিস, মেকওভার টিপস অনলাইনে দেওয়া যেতে পারে এবং কসমেটিক্স বিক্রি করতে পারেন। 

১০. হস্তশিল্প ও এমব্রয়ডারি বিজনেস

মহিলাদের হাতে তৈরি এমব্রয়ডারি, কুশন কভার, ব্যাগ, রুমাল, শাড়ি ডিজাইন করা ও বিক্রি করা যেতে পারে।

শেষ কথা: এই ব্যবসাগুলো কম বিনিয়োগে শুরু করা সম্ভব এবং সৃজনশীল নারীদের জন্য এগুলো চমৎকার সুযোগ হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রচারের মাধ্যমে এগুলোকে সফল উদ্যোগে রূপ দেওয়া সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *