
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
সোমবার কলারোয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে নবগঠিত সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল নেতা সোহেল। সেখানে তিনি বলেন, “আজ আমি রাজনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না। যারা কলারোয়ায় নতুন রাজনীতির সূচনা করতে চান, জেলখানা থেকে ফিরে এসে আওয়ামী ঘরানার পথ ধরেছেন, তাদের স্পষ্ট করে জানাতে চাই—ছাত্রদল যথেষ্ট শক্তিশালী। সাবেক মেয়রকে প্রতিহত করতে আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ছাত্রদল সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ৫ ঘণ্টার মধ্যেই সাবেক মেয়রকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হবে ইনশাআল্লাহ। দীর্ঘ ৯ বছর মেয়র থাকার পরও বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কি কোনো সুফল পেয়েছেন? আমার নেত্রী খালেদা জিয়ার নামে একটি ব্যানার পর্যন্ত কি ধরেছেন? অতীত আন্দোলনে সাবেক মেয়রের অনুসারীরা কি মাঠে নেমেছিলেন?”
আক্ষেপ প্রকাশ করে জিএম সোহেল বলেন, “এই সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে ঠিকাদারি করেছেন, এটা আমরা সবাই জানি। আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি কেবল দেশনায়ক তারেক রহমানের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে। কিন্তু এ ধৈর্য চিরস্থায়ী নয়।”
তিনি আরও বলেন, “সেই ব্যক্তি স্বপনের সঙ্গে গোপন চুক্তি করে নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করেছিলেন, তবে কলারোয়ার জনগণ তা বুঝে ফেলেছিল এবং তাকে লাল কার্ড দেখিয়েছিল। এখনো সময় আছে, ভুল পথ থেকে ফিরে আসুন। পিতা ও সন্তানের অভিজ্ঞতার পার্থক্য বুঝে চলুন। নতুবা কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।”
ছাত্রদল নেতার এমন বক্তব্যের পর অনেক নেতাকর্মী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “শেখ হাসিনার গাড়িবহর সংক্রান্ত মিথ্যা মামলায় মেয়র আক্তারুল দীর্ঘ সাড়ে চার বছর কারাভোগ করেছেন। ২০১১ ও ২০১৫ সালের নির্বাচনে মেয়র হলেও আওয়ামী লীগ তাকে পূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি।”
উল্লেখ্য, আক্তারুল এক সময় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা অযাচিত, ভিত্তিহীন এবং ভুল তথ্যনির্ভর বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাকে নিয়ে এমন হুমকির ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।