
বোরহানউদ্দিনে দেউলা ইউনিয়নের রাজনৈতিক বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুরুতর আহত একজন বরিশালে ভর্তি
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
ভোলা, বাংলাদেশ — ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান মাস্টারের বাঁ হাতের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে উপজেলার মজম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় আনিসুর রহমানকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি গঠিত দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে সভাপতি আমির হোসেন ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল সোহেলের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়। কমিটি ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং শেষপর্যন্ত তা সহিংসতায় রূপ নেয়।
সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল অভিযোগ করেন, দলের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় সভাপতি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রবিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হওয়ার পরপরই আমির ব্যাপারী, তার সন্তানরা এবং সহযোগীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আনিসুর রহমানকে রক্ষা করতে গেলে তার কবজি কেটে ফেলা হয়।
অন্যদিকে সভাপতি আমির হোসেন ব্যাপারী বলেন, “ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের লোকজনও আহত হয়েছেন। আমরা পাল্টা কোনো হামলা করিনি।”
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সংঘর্ষের বিষয়ে তারা অবগত হয়েছেন। একজনের হাতে কোপের আঘাত লেগেছে বলেও শুনেছেন, তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি করেননি।
অন্যান্য পত্রিকার উল্লেখ হেডলাইন:
– সমকাল: “ভোলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে এক নেতার কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ”
– যুগান্তর: “ভোলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নেতার কবজি বিচ্ছিন্ন”
– বাংলাদেশ প্রতিদিন: “দেউলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিএনপি নেতা”
– ঢাকা পোস্ট: “বিএনপির সংঘর্ষে নেতার কবজি কাটা, আহত ১০”
– বাংলা ট্রিবিউন: “ভোলায় বিএনপির বিবাদে রক্তপাত, নেতার কবজি কর্তন”