মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে আইএসপিআর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে বিভ্রান্তি

বাংলাদেশে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা নিয়ে আইএসপিআর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া দুই রকম তথ্য ঘিরে জনমনে প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) দুই রকম তথ্য দিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, এ পর্যন্ত মোট ২৯ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আইএসপিআরের দেওয়া তথ্যে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩১।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, তারা প্রতিটি মৃত্যুর নাম ও পরিচয় যাচাই করে তালিকা তৈরি করেছেন, তাই তাদের তথ্য ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

শুধু নিহত নয়, আহতের সংখ্যাতেও পার্থক্য রয়েছে। মঙ্গলবার আইএসপিআর জানায়, দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে ৬৯ জন চিকিৎসাধীন।

এই তথ্যগত অমিল নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে এবং স্বচ্ছতা ও সমন্বয়ের ঘাটতির সমালোচনা শুরু হয়েছে।

আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত ৩১ জনের মধ্যে ১০ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১৬ জন সিএমএইচে, ২ জন লুবনা জেনারেল হাসপাতালে, ১ জন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে এবং ১ জন ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত তালিকায় নিহত ২৯ জনের মধ্যে ১১ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে, ১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ১৫ জন সিএমএইচে, ১ জন লুবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং ১ জন ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছেন।

দুই সংস্থার তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে মৃত্যুর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় নেই, যা আইএসপিআর জানিয়েছিল। সিএমএইচে আইএসপিআর জানায় ১৬ জন নিহত, অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে ১৫। আবার লুবনা হাসপাতালে আইএসপিআর বলেছে ২ জন, অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে ১ জন। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় একজন বেশি দেখা যাচ্ছে।

এই অসামঞ্জস্যতা তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সঠিক হিসাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *