
বাংলাদেশে মাইলস্টোন কলেজে বিধ্বস্ত হওয়া চীনের যুদ্ধবিমানটি আকাশে ছিল মাত্র ১২ মিনিট। এত কম সময়ে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিল কি না—তা নিয়ে এখন জোর বিতর্ক।
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
মাত্র ১২ মিনিট উড়েছিল চীনের তৈরি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। এই অল্প সময়েই কী ঘটেছিল, তা নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন ঘুরছে সবার মনে।
বিশেষ করে আলোচনায় এসেছে—বিমানটি কি জনবহুল এলাকা এড়িয়ে অন্য কোথাও অবতরণ করতে পারতো না? কেনই বা এমন প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় চালানো হয়?
চীনের তৈরি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান শব্দের দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম। সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর মাত্র ১২ মিনিটেই এটি দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—বিমানটি কি জনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করতে পারত না?
ঘটনার সময় বিমানটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার। পাইলটের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় তার দক্ষতা নিয়ে সংশয় নেই বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে একদম শেষ মুহূর্তে পাইলট কেন ‘এক্সিট’ করার সিদ্ধান্ত নিলেন—তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান ক্যাপ্টেন (অব.) সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ।
তিনি জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির পাশাপাশি পাইলটের শারীরিক বা মানসিক অবস্থাও দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থাকায় মানুষের মনে আরও এক প্রশ্ন ঘুরছে—এই বিমানগুলো ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় কেন ওড়ানো হয়?
এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, সরকারের অবহেলার কারণেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অন্য কোথাও রানওয়ে গড়ে ওঠেনি। তাই বাধ্য হয়েই এসব যুদ্ধবিমান ঢাকায় ওড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও দাবি করেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে গাফিলতি করা হয়েছে। ফলে চীনে ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এফটি-৭ বিজিআই বিমান এখনও ব্যবহার করছে বাংলাদেশ।