
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যদি শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে আন্তরিকতা থাকে, তবে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি বলেন, “আমি নিজেও শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। পরে বিদেশে গিয়ে এমএসসি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে আবারও শিক্ষকতা শুরু করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও রাজনীতি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত ও দাউদকান্দির নেতাকর্মীদের আগ্রহে ১৯৯১ সালে শিক্ষকতা ছাড়তে হয় এবং নির্বাচনে অংশ নিই।”
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে দাউদকান্দির দুটি সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণ করেন। সে সময় শিক্ষক সংকট এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করার প্রবণতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বহুবার চেষ্টা করেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিশ্চিত করা যায়নি, কারণ নিয়োগপ্রাপ্তরা অনেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যেতেন।
সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টায় দাউদকান্দি পৌর শহরে অবস্থিত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজে স্নাতক অধিভুক্তি ও ট্যালেন্ট শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “তখনই ভাবি, একদিন সুযোগ হলে নিজ উদ্যোগে কলেজ করব যাতে এলাকার শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে। কারণ আমি নিজেও শিক্ষক ছিলাম এবং শিক্ষা নিয়ে আমার একান্ত আন্তরিকতা রয়েছে।”
ড. মোশাররফ জানান, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি দুইটি বেসরকারি কলেজ, দুইটি মাদরাসা ও তিনটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভালো ফলাফল করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজ দুটিকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত করেছে। অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর অনুমতিও ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতেও ফলাফলের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে সামচ্ছুল হক, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম সরকার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া, যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ ও আব্দুস সাত্তার, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও কলেজের শিক্ষানুরাগী নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, যুগ্ম-আহ্বায়ক সওগাত চৌধুরী পিটার, অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম এবং অভিভাবক সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সালাউদ্দিন প্রমুখ।