শেখ মুজিবসহ চার নেতাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি

নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেখানে “বীর মুক্তিযোদ্ধা” ও “মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী” এই দুই শ্রেণিতে ভিন্নভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) মধ্যরাতে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে যুক্ত এমএনএ ও এমপিএদের “মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী” হিসেবে গণ্য করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা মর্যাদা হারানো নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, “তাদের বাদ দেওয়া হয়নি, বরং তারা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপদেষ্টা বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান ও চার নেতা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছেন এবং থাকবেন। তারা তো স্বয়ং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।” অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে পাঁচটি শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে—যেমন বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধপন্থী পেশাজীবী, মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মচারী ও দূত, এমএনএ-এমপিএ সদস্যগণ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে যুদ্ধ করেছেন, বা ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তারাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। এতে করে মুক্তিবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, প্রবাসী সরকার অনুমোদিত বাহিনী, নৌ কমান্ডোসহ যুদ্ধকালীন চিকিৎসাসেবায় যুক্ত নার্স, চিকিৎসক এবং নির্যাতিত নারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *