
নিউ ঢাকা টাইমস : ডেক্স রিপোর্ট
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবদল নেতা ফোরকান আলীর (৪৭)। তিনি খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও ঘাসিড়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার জানিয়েছে, তিনি কোনো হামলা বা গুলিতে নিহত হননি; বরং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তবে দলীয়ভাবে এক নেতা এই ঘটনাকে ‘হত্যা’ হিসেবে আদালতে মামলা করেন। এই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৫৬০ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে নামসহ উল্লেখ করা হয়েছে ১৬০ জনের। ফোরকানের বাবা আবদুল কুদ্দুস মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আদালত ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন। এমনকি তিনি কবর থেকে ছেলের লাশ উত্তোলনেও বাধা দেন।
এর মধ্যেও এই মামলার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্ত ও এজাহারে উল্লিখিত ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (৩১ মে) রাতে উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আলাল উদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ফোরকানের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, তিনি টিএমএসএস নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এবং দলীয় মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে মারা যান। যদিও ইউনুস আলী হলুদ নামের এক যুবদল নেতা দাবি করেন, ফোরকানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ করিম জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি এবং তারা লাশ উত্তোলনে বাধা দিয়েছে। দলীয় নেতার দাখিল করা মামলাটিই এখনো আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতার অভিযানও চলমান রয়েছে।